Imported post: Facebook Post: 2021-06-26T00:47:26

পীর সাহেবের মুরিদগণের মধ্যে যাঁরা কোনো নির্দিষ্ট এলাকার খলিফা তাঁরা চাঁদা তুলে। ১০,০০০ টাকা তুলে পীর সাহেবকে দেয় ২,০০০ টাকা। পীর সাহেব চিন্তা করেন, "আমি তো ভণ্ডপীর মুরিদগণ যা দিয়েছেন তাই তো লাভ! ৫০,০০,০০০ পেলে ওরস শরিফে ৫,০০,০০০ টাকা খরচ করে বুড্ডা হাড্ডিসার গরুর পায়েস খাইয়ে দিব। যার মধ্যে এক টুকরা গোশতো তো দূরের কথা স্বাদও টের পাবে না। ৪৫,০০,০০০ টাকাতো পকেটে। আমিও খলিফাদের চাঁদা দিয়েছি বিশ্বাস করে। রশিদ দেয় নাই। এখন দেখছি এসব ভণ্ড পীরের ভণ্ড খলিফাদের চাঁদা দিয়ে অন্যায় করেছি। আমাকে দেখে অনেকে উৎসাহিত হয়েছে। তাঁরা বেহেশতে যাবার আশায় চাঁদা দিয়ে প্রতারিত হয়েছে। তাঁর দায় আমি এড়াতে পারি না। আর একবার গরুর হাট মনিটরিং করার দায়িত্ব পেয়েছিলাম। তদন্ত শেষে দেখি হাসিলা কেটেছে ৩,০০০ টাকা আর কার্বন কপিতে আলাদা কার্বন পেপার ব্যবহার করে লিখেছে ১,০০০ টাকা। অর্থাৎ, গরু ক্রেতাকে কিন্তু ঠিকই ৩,০০০ টাকার রশিদ দিয়েছে। উল্লেখ্য সেবছর গরুর হাটে লস হয়েছিল। সেখানে বিভিন্ন চৌকিতে হাসিলা কেটেছিল অনার্স মাস্টার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। তাঁরা অনেকে এখন শিক্ষকও হতে পারেন। ভণ্ড ধর্ম ব্যবসায়ী আর শিক্ষক নেতাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পেলাম না বলে দুঃখের সাগরে ভাসছি।

No comments

Thanks for your valuable comment.

Powered by Blogger.