Imported post: Facebook Post: 2021-07-06T21:58:17
এই ছবিটা দেখলেই টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে। রাত তিনটায় খুলনাগামী মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দেয় গোপালগঞ্জের ঘোণাপাড়ার চৌরাস্তায়। দিক্বিদিক জ্ঞান শুন্য অবস্থা, তারপরে কণকণে শীতের বাতাস। চায়ের দোকান গুলোতে যুবক ছেলেদের আড্ডা! ভয় পেয়েছিলাম কি-না মনে নেই। তবে সন্দিগ্ধ হয়েছিলাম! কোনো উপায়ন্তর না দেখে ১২ সিটের মাহেন্দ্র ভাড়া করে চলে গেলাম টুঙ্গিপাড়া! গাছপালাহীন নতুন রোড শীতে বেহাল অবস্থা দেখে ড্রাইভার চাচা আমাকে তাঁর নতুন দামী শালটা দিল।।। মধুমতি হোটেলে কামরা থাকা সত্যেও মাজারের সাথেই বোনের বাসায় গিয়ে উঠলাম!
তখন সাড়ে চারটা!
ডান দিক থেকে দ্বিতীয় ভোলার অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম স্যার, আমাকে ফোন দিল।
বাকিটা এখন স্মৃতি! রফিকুল ইসলাম স্যার করোণা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন আর আমি এখনো শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি!
স্যার, যে কত উদার মনের মানুষ ছিলেন তা বুঝানোর চেষ্টা এখানে করতে পারলাম না। সে যে কত সহজে মানুষকে আপন করে নিতে পারে তা বাবেশিকফো নেতাকর্মী অনেকেই জানে। আমার বোনকেও সে আপন করে নিয়েছিল। সেদিনকার স্মৃতিগুলো মধুময় ছিল। আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন নেতা সেদিন সেখানে যেতে পারে নাই। তবে, ঢাকা থেকেই আমাদের সহযোগিতা করেছে।
কিন্তু দুঃখ লাগে, যখন আমি তাঁর দুর্নীতির পথের কাঁটা হয়ে গেলাম তখন থেকে সে আমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করলো......................
No comments
Thanks for your valuable comment.